সামরিক মুখপাত্র জাও মিন তুন সংঘর্ষের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন
মিলিশিয়া এবং মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তা বিরোধীরা এই সপ্তাহে “জনগণের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ” ডাকার পর থেকে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা ছিল।
এবছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি’র সরকার উৎখাতের পর থেকেই অশান্ত রয়েছে মিয়ানমার। এক দশকের অস্থায়ী গণতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ক্ষোভ, ধর্মঘট এবং বিক্ষোভের জন্ম হয়। একই সঙ্গে মিয়ানমার মিলিশিয়া গোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে যারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মিয়ান থার গ্রামে সেনাবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে সেনাবাহিনী ভারী কামান ব্যবহার করায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অনেক নিরীহ মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছে।
৪২ বছর বয়সী একজন স্থানীয় বলেন, “তারা কামান নিক্ষেপ করেছে, আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ছিল। এবং তার ১৭ বছরের মিলিশিয়ার সদস্য ছেলেও মারা গেছে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নিহতদের মধ্যে আমার ছেলেকে চিনতে পারছিলাম না। আমি আমার সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি। আমি পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত তাদের ক্ষমা করবো না।”
এদিকে, সামরিক মুখপাত্র জাও মিন তুন নিশ্চিত করেছেন ম্যাগওয়েতে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। তবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।