করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কে দুই সন্তান-স্ত্রীসহ পুরো পরিবারকে খুন করেছেন এক চিকিৎসক। পরিবারকে হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই চিকিৎসক। তবে হত্যার কথা স্বীকার করে তিনি ডায়েরি লিখে রেখেছেন। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুরো পরিবারের মরদেহ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে চিকিৎসকের ডায়েরিতে লেখা স্বীকারোক্তি নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। তিনি পুরো ঘটনার জন্য করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনকে দায়ী করেছেন।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ডা. সুশীল সিং। কানপুরের রাম মেডিকেল কলেজে কাজ করেন তিনি। তার স্ত্রী স্থানীয় একটি জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষিকা। ছেলে শিখর উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মেয়ে খুশী দশম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্তের ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বিকেল ৫.৩২ মিনিটে তার কাছে সুশীল সিংয়ের একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল, ‘ভাই পুলিশকে গিয়ে বল, আমি ডিপ্রেশনে চন্দ্রপ্রভা, শিখর আর খুশিকে মেরে ফেলেছি।’ মেসেজ দেখে তড়িঘড়ি দাদা ফ্ল্যাটে হাজির হলেও ততক্ষণে সব শেষ। অভিযুক্তের ভাইয়ের দাবি, তিনি ফ্ল্যাটে এসে আর ডা. সুশীল সিংকে দেখতে পাননি।
পুলিশ অভিযুক্তের ঘর থেকে যে ডায়েরি উদ্ধার করেছেন তাতে ওই চিকিৎসক লিখেছেন, ‘আর করোনা নয়। এই ওমিক্রন আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। আর মৃতদেহের ভার আমি নিতে পারব না। নিজের অবহেলার কারণে আমি এমন জায়গায় ফেঁসে গিয়েছি যে সেখান থেকে বেরোনো আমার পক্ষে অসম্ভব। আমার আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এবার সব শেষ। এবার আমি নিজের হাতে সজ্ঞানে নিজের পুরো পরিবারকে খুন করে নিজেকেও শেষ করে দেব।’