বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সংবিধানের ৪১০ ধারাতে সুযোগ আছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর। কিন্তু নানান অজুহাতে বেগম জিয়াকে সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের ডাক দিয়েছেন। তিনি এই সংলাপকে অর্থহীন বলে উল্লেখ্য করে বলেন, এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।

সরকারকে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। বর্তমান সরকারকে প্রতারক সরকার বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল দেশের মানুষকে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের মত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে উৎখাত করার আহবান জানান। অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। জনগণ বিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিসকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে।

তিনি বলেন, এই সরকার জনগণকে ১০ টাকা কেজি চাল দিবে বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাউলের দাম ৭০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে ওয়াদা রক্ষা করতে পারেনি। চাকরি পেতে এখন লাখ লাখ টাকা ঘুষ গুণতে হচ্ছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবীরের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।