আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ’র (বিডিএমডব্লিউ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের নাম নোবোল পিস প্রাইজ কমিটিতে নাম প্রস্তাবিত হওয়ায় তাকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর ইসকন-প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের হল রুমে এ আয়োজন করা হয়।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি কাজকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। যেখানে মানবাধিকার ক্ষুন্ন হয় ছুটে যায় সেখানে। পাশে দাড়াঁনোর প্রচেষ্টা থাকে। ন্যায় বিচার যাতে বিঘ্নিত না হয়।
তিনি বলেন, আমি কখনো প্রচার করে ডাক-ঢোল পিটিয়ে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার মানুষ নই। দীর্ঘদিন আইন পেশার পাশাপাশি জনসেবার এ মহান কাজকে ব্রত হিসেবে নিয়েছি। গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষ যারাা সংখ্যায় জাতিগতভাবে কম তাদের পাশে আমরা সবসময় থাকার চেষ্ঠা করি।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ কেবল সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে তা নয় সংখ্যাগুরু দ্বারা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান পাহাড়ী বাঙ্গালী এমনকি মুসলিম আহম্মদিয়া সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে.. আমরা এক কথায় যেখানে মানবের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় তাদের নিয়ে কাজ করি, যোগ করেন প্রবীণ এ আইনজীবী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সিনিয়র সভাপতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কাঞ্চন আচার্য্য, সহ-সভাপতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বিধান বিশ্বাস, সম্পাদক ডা. যীশুময় দেব, সহ-সম্পাদক ও সংগঠক এ্যড. হিরু সুশীল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণমাধ্যম কর্মী-সংগঠক জুয়েল আইচ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সংগঠক এ্যাড. সুজন দাশ এবং সুপন শিকদার।
অনুষ্ঠানে এ্যড. রবীন্দ্র ঘোষ পত্নী কৃষ্ণা ঘোষ, ইসকন-প্রর্বতক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের স্বতন্ত্র প্রভু এবং সনাতনী জাগরনী সংঘের সভাপতি কাঞ্চন আচার্য্যসহ বিশিষ্ট গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অমিত পারিয়াল ও রাজবীর আকাশ। এসময় সংগঠনটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।