সুজন চক্রবর্তী, আসাম( ভারত): ভারতের উত্তরপ্রদেশের বেরেলিতে হিন্দু যুবক সুনীল কুমারকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্তের শেষে নিহত সুনীল কুমারের মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছনোর পর গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে লাশটিকে সড়কে রেখে রাস্তা অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে শত শত গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সুনীলের দেহ পাওয়া যায়। পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অন্য সম্প্রদায়ের এক মেয়ের সঙ্গে সুনীল কুমারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন নিহত সুনীলের আত্মীয় স্বজনরা। ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বেরেলির শীশগড় থানা এলাকার জিয়াংলা গ্রামে। গাছে সুনীল কুমারের ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রেমের জেরে ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা। গ্রামের ভিন্নধর্মের মেয়ের সঙ্গে তার ছেলের প্রেম চলছিল। বিষয়টি প্রকাশের পর থেকেই উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। তখন গ্রামের লোকজন ও গ্রামের প্রধানের মধ্যস্থতায় ব্যাপারটি সমাধান করা হয়। মৃত সুনীলের বাবা আশারামের অভিযোগ, ছেলের প্রেমের জের ধরে ৩ মাস আগে উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর থেকে দুজনেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলেনি। ২ই সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সুনীল। এরপর ৩ ই সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় দেখা যায় শালি গ্রামের বাগানের একটি আমগাছে সুনীলের লাশ ঝুলছে। সুনীলের বাবার অভিযোগ করে বলেছেন, গিয়ে দেখি সুনীলের হাত পা বাঁধা। মুখে কাপড় পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল। সুনীলের বাবার অভিযোগ, ছেলের প্রেমিকার বাড়ির সদস্য ইসরার আহমেদ, আওয়ারার আহমেদ, সরফরাজ আহমেদ ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা মিলে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। নিহত সুনীলের বাবা শীষগড় থানায় একটি আবেদন করে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। এবিষয়ে এসপি পল্লী রাজকুমার আগরওয়াল সাংবাদিকদের জানান, গাছে ঝুলন্ত অহস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তার নাম সুনীল। তার বাবা গ্রামেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।