কেবলমাত্র মন্ডপে মন্ডপে পুলিশ বা আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য দ্বারা নিরাপত্তা দিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে সাম্প্রদায়িক ঘটনা রোধ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি রাজপথে থেকে মোকাবেলা করলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব ও সাংগঠনিক সম্পাদক কল্লোল সেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভার উদ্বোধক পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ও এস এন্ড ডি মজুমদার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার মজুমদার। প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাড. প্রিয়রঞ্জন দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দু নন্দন দত্ত, অধ্যাপক নারায়ণ চৌধুরী, সদস্য অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ ও বিপুল কান্তি দত্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বৈষ্ণব, সহ-সভাপতি শ্রীনিবাস দাশ সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পালিত, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক শিপুল কুমার দে, রাউজান উপজেলার সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলার সভাপতি সুনীল ঘোষ, আনোয়ারা উপজেলার সভাপতি সুগ্রীব মজুমদার দোলন, রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার সভাপতি অ্যাড. পংকজ কুমার চৌধুরী, মীরসরাই উপজেলার সভাপতি সুভাষ সরকার, চন্দনাইশ উপজেলার সভাপতি বলরাম চক্রবর্তী, লোহাগাড়া উপজেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ পাল, পটিয়া উপজেলা সভাপতি রূপক শীল, কর্ণফুলী উপজেলার সভাপতি রূপেন চৌধুরী, সন্দীপ উপজেলার সভাপতি মাধব চন্দ্র দাশ, ফটিকছড়ি উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কাজল শীল, ভূজপুর থানার সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার শীল, হাটহাজারী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিমন মুহুরী, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন আচার্য্য, বাঁশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু কুমার দাশ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন- দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা না নিলে, বিচারের সম্মুখিন না করলে, জাতি এর থেকে পরিত্রাণ পাবে না। জাতীয় রাজস্ব বাজেটে বরাদ্দের ক্ষেত্রে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী এখনো বৈষম্যের শিকার। ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান চাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর অস্প্রদায়িক ধর্মনিপেক্ষ বাংলাদেশ চাই। সভার শুরুতে শ্রীশ্রী চন্ডী থেকে পাঠ করেন রূপা রায় চৌধুরী। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব-২০২২ এর শুভ সূচনা হবে।