বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
Logo জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন টিভি’র ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত। Logo নড়াইলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু Logo বীরগঞ্জে জাতীয় যুব উন্নয়ন দিবস পালিত Logo বীরগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজন Logo ফুলবাড়ীতে উপজেলা আ’লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত Logo নড়াইলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো শারদীয় দুর্গোৎসব Logo বীরগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে আদিবাসী মিলন মেলায় মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি আদিবাসীদের তীরের মাথায় এখনো লাল সবুজের পতাকা Logo হাটহাজারিতে শারদীয় দূর্গা- পূজার আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশবাসীকে শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা জানালেন ডাঃ সুমিত রায় চৌধুরী

চুয়াডাঙ্গায় রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই

সোনার বাংলা নিউজ / ১২৭ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ

বাচেনা খাতুন নামের এক রোগীর পেটে কাঁচি রাখার অভিযোগে আনীত মামলায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজা ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তারিক হাসান এ আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের গৃহবধু বাচেনা খাতুন পিত্তথলির অপারেশন করেন গাংনীর রাজা ক্লিনিকে। বাচেনা খাতুনের অপারেশন করেন চিকিৎসক মিজানুর রহমান। তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা ও অ্যানেস্থেসিয়া করেন ডা. তাপস কুমার।

অপারেশনের এক সপ্তাহ পর বাচেনা খাতুনকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিন্তু পেটে ব্যথা ভালো না হওয়ায় ২০ বছর যাবত ঘুরেছেন বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। অবশেষে গেলো ২ জানুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্স-রে করানোর সময় তার পেটে সন্ধান পাওয়া যায় অপারেশনকালে ডাক্তারের রেখে দেয়া কাঁচির।

এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে রাজা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার শরাণাপন্ন হলে তিনি বাচেনা খাতুনকে অপারেশন করার পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর পর রোগীর পেটে থেকে অপারেশনের মাধ্যমে কাঁচি বের করা হয়।

এ ঘটনায় আমলী আদালত গাংনী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য়) মো. তরিকুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন এবং মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) অপু সারোয়ারকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সেই সাথে ঘটনা তদন্তে সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকীকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বলা হয়।

অপরদিকে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে গেলো ৫ জানুযারি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান লিটনকে প্রধান ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারী মো. ফজলুর রহমান, মেহেরপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ফয়সাল হারুনকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করে প্রতিবেদন জমা দেন।

অন্যান্য আসামিরা হচ্ছেন, অ্যানেস্থেসিয়া ডা. তাপস কুমার ও রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকার ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজা।

রোববার দুপুরে অভিযুক্তরা আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত ডা. মিজানুর রহমান ও ডা. তাপস কুমারকে জামিন প্রদান করলেও রাজা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন জানান, আমরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চেয়েছিলাম, বিচারক জামিন প্রদান করেননি। আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

Theme Customized By Theme Park BD