নড়াইল জজ আদালতের পেছনে চিত্রা নদীর তীরে নড়াইল লঞ্চ ঘাটের পন্টুনের ওপর ৩ হাজারের বেশি মানুষকে গলা কেটে চিত্রা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হলেও এখানে তার কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া দীর্ঘ ৯ মাসজুড়ে জেলায় প্রায় ৩০০ মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রায় ৬ হাজার মানুষকে হত্যা করা হলেও সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
এ প্রসঙ্গে মার্শাল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এ কাজের ঠিকাদার তরিকুল বিশ্বাস বলেন, কাজটি সমাপ্ত হওয়ার ২ মাস পর নড়াইল এলজিইডি বিভাগের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে কাজটি বুঝে দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের তথ্য কে দিয়েছে এমন প্রশ্নে ঠিকাদার বলেন, তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে যে তথ্য দেওয়া হয়, তার ভিত্তিতে এটি লেখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নড়াইল এলজিইডি বিভাগের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিত কুমার কুন্ডু বলেন, ‘এ প্রকল্প মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় এর তত্ত্বাবধান সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের করা উচিত ছিল।’
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি জেলা কমান্ডার এস এ মতিন বলেন, ‘গত শনিবার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনার পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।