বাবলু তন্তবায় দীপু,
চুনারুঘাট প্রতিনিধি (হবিগঞ্জ)
সারা দেশের মতো দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে আজ ৫ই অক্টোবর বুধবার সকালে দশমী পূজার আনুষ্ঠানিকতার শেষে বিকাল ৫টার সময় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের গিলানী চা বাগানের শ্রীশ্রী দূর্গা মন্দিরে সিঁদুর খেলার পর পুকুরঘাটে বিসর্জন দেয়া হচ্ছে প্রতিমা।
গিলানী চা বাগানে পূজামণ্ডপ থেকে ঢাকের তালে তালে প্রতিমা নিয়ে আসেন ভক্তরা। এ সময় সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে বিসর্জন দেয়া হয় দেবী দূর্গাকে। পুজার্চনায় পৌরহিত্যে করেছেন হবিগঞ্জ সদরের শ্যামল চন্দ্র ভট্টাচার্য ও মৌলভীবাজারের শেরপুরের অজয় চন্দ্র ভট্টাচার্য। পুজা কমিটি সভাপতিত্ব করেছেন রাজকুমার সাঁওতাল এবং তার সাথে কমিটি হিসিবে রয়েছেন অধির তাঁতী, সুরেন কর্মকার, শ্যামল মুড়া, অচিন্ত ভূমিজ, জিরামনি মুড়া, আকালী ভূমিজ, আরো অনেকেই। বিসর্জন শেষে বাগানের শত শত নারী পুরুষ সহ পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে আনন্দ উল্লাসে ভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক নাচ, ঝুমুর নাচ এবং আশীর্বাদের মাধ্যমে পুজা সমাপন করেন। এতে বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন হাজিরা ক্লার্ক সৃজল চন্দ্র দত্ত, দেউন্দি চা বাগানের ফ্যাক্টরি ক্লার্ক লিটন চৌহান, সভাপতি অমল ভৌমিক, ইউপি সদস্য স্বরূপ বুনার্জী, সাংবাদিক বাবলু তন্তবায় দীপু, মন্দিরের সেবক, ময়মুরুব্বি সহ প্রমুখ।
অত্র চা বাগানের সাধারণ সম্পাদক অমৃত তাঁতী বলেন, দেবীর বিদায়ে শান্তি কামনা করে আগামী বছরে দেবীর আগমনের অপেক্ষায় থাকবেন বাগানের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া আরো জানা গেছে গিলানী চা বাগানের মহানন্দ মৃর্ধা বলেন বাগানের শতশত নারী পুরুষ সহ আনন্দের সাথে জাক যমক ভাবে পুজা এবং সাংস্কৃতিকের সাথে গৌড়বময় করে তুলেন।
চুনারুঘাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( তদন্ত) এস আই গোলাম মোস্তফা বলেন হিন্দু মুসলিম একে অপরে পরস্পরের সাথে আনন্দ উপভোগ করেছি এবং চুনারুঘাট উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মন্দিরের আমার দায়িত্ব ছিলো যেনো কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে না পারে।