ইন্টেন্ট, ইম্প্যাক্ট, আক্রমণাত্মক মানসিকতা- শব্দগুলো এখন পর্যন্ত হয়তো কেবল অভিধান থেকে মুখস্থই করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল, জানেনি তার প্রয়োগ। নইলে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে সবাই যখন মারমুখী ক্রিকেটের পসরা সাজিয়েছে, বাংলাদেশ কেন পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে সাকুল্যে করতে পারলো ৯৬ রান! আফগানিস্তানে বিপক্ষে তাই ৬২ রানের বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে সাকিব বাহিনীকে।
আফগানিস্তানের দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ফজলহক ফারুকির তোপে ইনিংসের অর্ধেক পথ যেতেই সাকিব বাহিনী হারিয়েছেন ইনিংসের অর্ধেক উইকেট। আর সেখান থেকে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। এমন বিপর্যয়ের পর সাধারণত ফেরার পথ থাকেও না।
ব্রিসবেনে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমেও বাংলাদেশ দলে চলেছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ওপেনার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। তার সাথে ওপেন করতে নেমেছেন মেহেদী মিরাজ। দুইজনের কাউকেই কোনোভাবেই সফল বলা যাচ্ছে না। শান্ত ৯ বলে ১২ রান করে আউট হয়েছেন। তবে মিরাজের ৩১ বলে ১৬ রানের ইনিংস, যার স্ট্রাইক রেট ৫১, সেটা যে কার কাজে লাগলো, তা স্পষ্ট নয়।
৩ ও ৪ নম্বরে নেমে সৌম্য ও সাকিব দুইজনেই ১ রান করে করেছেন। আর আফিফ তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই অবস্থা ইয়াসির আলি রাব্বিরও। স্কোরবোর্ডকে বিরক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনিও। আর নুরুল হাসান সোহানও ফিরে গেছেন ১৩ রান করে।
৪৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ধুঁকতে ধুঁকতে ৯ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে ২০ ওভারের কোটা পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। রানটাও ঠিক উল্লেখ করার মতো নয়, মাত্র ৯৬। খেলার এক চতুর্থাংশ বাকি থাকতেই যেখানে নির্ধারিত হয়ে যায় ফলাফল, সেখানে পরিসংখ্যান কেবল কয়েকটি সংখ্যা ছাড়া কিছুই নয়।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে সাকিব বাহিনীর সামনে ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছিল আফগানরা।