মল্লিকার্জুন খারগে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে ভূমিধস করে পরাজিত করেছেন। প্রত্যাশিত হিসাবে, প্রবীণ নেতার শীঘ্রই ১০ জনপথের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। বরং, সোনিয়া গান্ধীই ১০ রাজাজি মার্গে অর্থাৎ খার্গের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। কারণ এটা কংগ্রেসের প্রচলিত রীতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
এর আগে ২০১৫ সালে, সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস সদর দফতর থেকে মনমোহন সিংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সে সময় কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম জড়িয়েছিল। তাই তার পাশে থাকা দল নিয়ে সোনিয়া নিজেই এই বার্তা দিতে মনমোহনের বাড়িতে যায়। অন্যথায় এই ধরনের নিদর্শন যেমন দেখা যেত না।
এদিন শুধু সোনিয়া নয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। এদিকে, ‘ভারত জোরো যাত্রা’তে থাকা রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই একটি বার্তা দিয়েছেন যে নতুন সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন দলে তাঁর ভূমিকা কী হবে। সব মিলিয়ে গান্ধী পরিবারের প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন রাষ্ট্রপতিকে পুরোপুরি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, দুই দশক পর কংগ্রেসের অ-গান্ধী সভাপতিকে অভিনন্দন জানাতে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আমার শুভেচ্ছা।” তার মেয়াদ ফলপ্রসূ হোক।
‘হাই কমান্ড প্রার্থী’ হিসাবে পরিচিত খড়গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৭৮৯৭ ভোট পেয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ শশী থারুর পেয়েছেন ১০৭২ ভোট। অর্থাৎ ৬ হাজার ৮২৫ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন খাড়গে । কংগ্রেস সভাপতি শেষবার ২০০০সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ সেবার সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।