পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার আগ্রহী। প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা চলছে।
মিয়ানমারের আশ্বাস সত্ত্বেও গত পাঁচ বছরে একটিও রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি দেশটি। বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও প্রক্রিয়াটি থমকে গেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ই চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, তাই চীন আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহায়তা করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যদিও মিয়ানমারের বর্তমান অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত, তবুও “চীনের মধ্যস্থতায়” উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়নি এবং প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারের বর্তমান কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার ধারণা নিয়ে চার বছর আগে নিউইয়র্কে ধারাবাহিক বৈঠক হয়। সেখানে দ্রুত প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রেক্ষাপটের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হয়।
সাম্প্রতিক একটি ইভেন্টে রাষ্ট্রদূত জিমিং ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি মিয়ানমারের পক্ষের সাথে যা আলোচনা করেছেন তার ভিত্তিতে তিনি ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে দেখা করবেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ফলাফল’ উপস্থাপন করবেন। সে অনুযায়ী আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, মায়ারমার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত নিতে রাজি হয়েছেন।
এর আগে 2017 সালের 25 আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। পরবর্তীতে দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে থাকে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে গাম্বিয়া। সেখানে অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার বিচার করা হয়।