স্পোর্টস ডেস্ক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে জীবন-মৃত্যুর ম্যাচে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের দলের সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে বড় জয় ছাড়া বিকল্প নেই। সতীর্থদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানিয়েছেন অজি অধিনায়ক। আপসহীন লঙ্কানরা। পার্থে দিনের একমাত্র ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায়।
ঘরের মাঠে যে কোনো ফরম্যাটে ২০১১ সালের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি প্রথম পরাজয়। নিউজিল্যান্ডের ২০০ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১১১ রানে। এই পরাজয়ের ফলে রান স্কোরার হিসেবে অজিদের সমৃদ্ধ ক্রিকেট ইতিহাস নষ্ট হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে এমন শুরুটা অবশ্যই ভুলতে চাইবেন অস্ট্রেলিয়ান ভক্তরা।
৮৯ রানের বিশাল হারে গ্রুপ ওয়ানের তলানিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। বাকি ম্যাচে বড় জয় ছাড়াও সেমিফাইনালে উঠতে চাইলে প্রতিপক্ষের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর রাখতে হবে অজিদকে। ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন আউজি বোলাররাও। এমন কঠিন সময়ে অজিদের সামনে শ্রীলঙ্কা।
পালাবদলের মঞ্চে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়ক বলেন, “আমরা বড় ব্যবধানে হেরেছি। আমরা শুরুতেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দল যেকোনো পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম। সবাইকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। কোনো ভুল করা হবে না। সবাই জানেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কী করতে হবে, সেটা মাঠেই প্রয়োগ করা উচিত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের দাপটের মধ্যে স্টিভ স্মিথকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে স্মিথকে সেরা ব্যাটসম্যান মনে করলেও বর্তমান দলকে আস্থা রাখতে চান টুর্নামেন্টে জয়ের অন্যতম নায়ক মিচেল মার্শ।
তিনি বলেন, ‘স্মিথ আমাদের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। তবে প্রথম ম্যাচে যারা খেলেছে তারা সবাই সেরা। ভুল হতে পারে। আশা করি পরের ম্যাচে সেটা কাটিয়ে উঠতে পারব।
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা নামিবিয়ার বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে প্রথম দিকে হোঁচট খেলেও পরের দুই ম্যাচে বাউন্স ব্যাক করে। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে হেরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত লঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতেছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ের আগে ইনজুরিতে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। দুস্মান্ত চামিরা, প্রমাদ মদুশান, ধানুস্কা গুনাথিলাকা, দিলশান মাদুশঙ্কা ও পথুম নিশাঙ্কাকে ছাড়াই লঙ্কানদের লড়াই করতে হবে।
দুই দল এর আগে ২৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে অজিদ জিতেছে ১৫টি ম্যাচে এবং লঙ্কানরা জিতেছে ১০ বার।