সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে (সেতাবগঞ্জ) ২ নং ইসানিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত মোহবত পুর মৌজার, ২ টি খতিয়ানে মোট জমি ২ একর ৮০ শতক। যথাক্রমে
১নং খতিয়ান
জেল এল ৫০ এস এ খতিয়ান ১০৪ দাগ ৪১৪। জমির পরিমাণ -১-৬৮ ।
২নং খতিয়ান
জেল এল ৫০ এস এ খতিয়ান ১০২ দাগ ১২৯ জমির পরিমাণ – ১ একর ১২ শতক ।
উক্ত গ্রামের ২ একর ৮০ শতক জমির এস এ রেকর্ড মুলে দেখা যায় উক্ত জমি দেবোত্তর সম্পত্তি হিন্দু জনসাধারণের ব্যবহার্য এবং উক্ত জমিতে দুই টি মন্দির অবস্থিত আছে, জাম গাছ, শিমুল গাছ,পাইকোর গাছ,ছাইতান গাছসহ বিভিন্ন গাছ জমিতে আছে। একটি শ্রী শ্রী নরসিংহ ঠাকুর, অপরটি শ্রী শ্রী কালী মাতা ঠাকুরাণী যাহা হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুজা অর্চনা করার স্থান।
কিন্তু উক্ত খতিয়ান দুই টিতে জিম্বাদার হিসেবে শ্রী তারিনী কান্ত রায় ও শ্রী সুধির চন্দ্র রায় এই দুই জনের পিতার নাম থাকাতে তাহারা ওয়ারিশ সুত্রে উক্ত সম্পত্তি নিজের বলিয়া দাবি করিতে থাকে ও জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এবং জমিতে থাকা ৫/৬ টি গাছ, জোর পূর্বক কেটে নিয়ে যায়, যাহার অনুমানিক মুল্য, ৬০০০০ টাকা আত্মসাৎ করে বিভিন্ন ভাবে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয়।
এমতাবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসাধারণের পক্ষে শ্রী দেবেন্দ্র নাথ রায়সহ ২৫ জন গ্রাম্য জনসাধারণ বাদী হয়ে, তারিনী কান্ত রায় ও সুধির চন্দ্র রায় কে বিবাদী করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন, মোকদ্দমা নং ২৮/২০০৬ অন্য।
দেবেন্দ্র নাথ রায় এর নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, দির্ঘ ১৬ বছর মামলা পরিচালনা করার পর গত ( ৩১ আগস্ট ২০২২) বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে বিবাদীর বিরুদ্ধে ডিগ্রি প্রদান করেন । হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসাধারণ বিজ্ঞ আদালত থেকে ডিগ্রি পাওয়ার পরেও জমিতে যেতে পারছেন না একটি কুচক্রী মহলের কারণে, একটি কুচক্রী মহল হিন্দু দের কে উক্ত জমির দখল চুতো করতে চায়,পুরা সম্পদটাই তারা গ্রাস করতে চায়।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া, গত (২৮ অক্টোবর ২০২২) বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষসহ মানবাধিকার কর্মী, অ্যাড কমল কান্ত কর্মকার, রিপর দাস, আব্দুর রাজ্জাক, শাহিনুর ইসলাম, নকুল রায়,উত্তম রায়,সপন দাস, একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যান ও ইনভেস্টিগেশন করেন এসময় গ্রামের লোকজন দাবি করেন তারা উক্ত জমি উদ্ধার চায় এবং বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নিকট উক্ত ঘটনার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করলে তিনি আইনত সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস্থ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল এর নিকট ঘটনার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করলে তিনিও আইনত সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস্থ করেন।
ঘটনায় প্রকাশ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে উক্ত ৪১৪ দাগের জমি কালী দেবোত্তর সম্পত্তি যাহা হিন্দু গ্রাম্য জনসাধারণের ব্যবহার্য, উক্ত জমিতে কালী মন্দির রহিয়াছে, কিন্তু ঐ জমিতে জৈনক আলী আর তার ছেলে সুমন নামের এদের সাথে যোগসাজশে বিবিদীদয় লিজ দিয়াছে বলিয়া জানা যায় আরও দেখা যায় আলী আর সুমন উক্ত জমিতে ফুল কফি রোপন
করে জোর পূর্বক দখল করছে। হিন্দু জনগোষ্ঠীর লোকজন কে জমতে যাইতে দিচ্ছে না এমনকি মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা টুকু রাখে নাই। জমি উদ্ধারের দাবি জানায় হিন্দু জনসাধারণ।
বি ডি এম ডাব্লু এর সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে ও উক্ত জমি হিন্দু জনসাধারণকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে, এবং পোসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।