সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক।
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ১৮ নং ইউনিয়নের অন্তর্গত লাউথুতী গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী জনসাধারণের শ্মশানের জমির
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে এস এ রেকর্ড অনুযায়ী খতিয়ান নং ৭০৯, দাগ নং ৩১০৯, পরিমাণ ৭৪ শতক জমি, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশানের নামে লেখা আছে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন পূর্ব পুরুষ হইতে লাউথুতী শ্মশান ঘাটে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন এর মৃত দেহ সৎকার ও অগ্নিদাহ করিয়া আসিতেছে ও শ্মশান ঘাট হিসাবে মানিয়া গুলিয়া আসিতেছে। কিন্তু গত (২৯ সেপ্টেম্বর২০২২) সোমবার সময় অনুমান সকাল ৯.৩০ মিনিটে ওয়াহেদ আলীর পুত্র মোঃ সাত্তার আলী (৪০) হঠাৎ করিয়া উক্ত শ্মশান ঘাটের জমিতে দালান বাড়ী ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এলাকার সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মিলে বাধা প্রদান করিলে সে তাদের বাধা না মানিয়া শ্মশান ঘাটের জমিতে দালান বাড়ী ঘর নির্মাণের কাজ আরাম্ভ করেন। ফলে এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজনের মৃত দেহ সৎকারে চরমভাবে অসুবিধার সম্মুখীন হইতেছে।
উক্ত শ্মশানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি,শুকদেব চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক, সুবাস চন্দ্র রায়সহ গ্রামের লোকজন গনো স্বাক্ষরে গত (১৯ অক্টোবর ২০২২) জেলা প্রশাসকের নিকট জমি উদ্ধারের জন্য আবেদন করেন।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ খবর পেয়ে ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক কে জানালে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে গত (২৯ অক্টোবর ২০২২) বি ডি এম ডাব্লুর ৪ সদ্স্যর একটি প্রতিনিধি দল, ( ১। অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ, ২। মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ৩। সপন দাস, ৪। গৌউর হরি ) ঘটনাস্থলে যান এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ঘটনার বিষয় জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং সার্বিয়ার ও তশিলদার কে ঘটনাস্থলে পাঠান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
বি ডি এম ডাব্লুর প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে
সরজমিনে তদন্ত কালে দেখতে পান যে সাত্তার শ্মশানের জমিতে বাড়ী নির্মাণ করেছেন।
প্রতিনিধি দল ছাত্তারের নিকট জমির মালিকানা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই জমির মালিক আমি না, আমার কোনো কাগজপত্র নাই, আমি এমনিতেই বাড়ী করে আছি, উক্ত জমির মালিক কে তার নিকট জানতে চাইলে তিনি কোনো সদ উত্তর দিতে পারেন নাই, ৭৪ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক পরিমাণ জমিতে বাড়ী নির্মাণ করেছেন, ৬৪শতক জমি তিনি দখলে রেখেছেন, দখলে থাকা ৬৪ শতক জমি তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বল্লে তিনি ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যান, তখন সার্বিয়ার, তশিদাল ও বি ডি এম ডাব্লুর প্রতিনিধি দল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্মশানের জমি মাপযোগ করে উদ্ধার করেন।
জমি উদ্ধারের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উক্ত জমিতে কালী মন্দির স্থাপন করেন এবং পুজা অর্চনা করেন।