সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক।
রংপুরে কাউনিয়ায় শহীদবাগ বল্লভবিষু কেন্দ্রীয় মহা শ্মশান কালী মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে কালী মুর্তি ও শিব মুর্তি ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে মন্দিরের সেবায়েত মৃত পশুরা বর্মনের পুত্র পতিরাম বর্মন বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় গত (৩১ অক্টোবর ২০২২) অজ্ঞাতনামা নামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১০/১২০ ।
বাদীর এজাহার সুত্রে জানা যায় সেবায়েত প্রতিদিনের নেয় গত (৩০ অক্টোবর ২০২২) মন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ প্রজ্বলন করে, কালী প্রতিমা ও শিব দেবতার নামকীর্তন করে নির্মাণাধীন মন্দিরের দরজায় অস্থায়ী বাঁশের বেড়া লাগিয়ে রাত অনুমান ০৮.০০ মিনিটে গুলশান মোড় বাজারে যায়। সেখানে সেবায়েত, সুশান্ত সরকার ও কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উদয় চন্দ্ৰ বৰ্মন সহ অন্যান্যদের সাথে পুজার বিষয়ে আলোচনা করে উক্ত তারিখ রাত অনুমান ১১.০০ মিনিটে সময় সুশান্ত সরকারের সঙ্গে বাড়ী চলে যায়।
পরের দিন অর্থাৎ গত (৩১ অক্টোবর২০২২) সকাল অনুমান ০৬.৩০ মিনিটে সেবায়েত তার নিজ বাড়ী হতে পূজা অর্চনার উদ্দেশ্যে মন্দিরের দিকে রওনা করে মন্দির কাছাকাছি পৌছিলে শ্রী হরিশ চন্দ্র বর্মন (৭০) এর সঙ্গে দেখা হলে তিনি সেবায়েতকে জানান যে, কালী মন্দিরের দরজা খোলা এই কথা বলে তিনি চলে যাওয়ার পর সেবায়েত মন্দির চত্ত্বরে প্রবেশ করে দেখে যে, মন্দিরের বাঁশের দরজা খোলা এবং মন্দিরে জ্বালানো বৈদ্যুতিক বাতিটি বন্ধ। তখন সেবায়েত মন্দিরের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখতে পায় মন্দিরের ভিতরে থাকা কালী মূর্তির মুখ • মন্ডল ভাঙ্গা, মূর্তির চার হাতের মধ্যে বাম ও ডান দিকের দুই হাত ভাঙ্গা, শিব মূর্তির মুখ মন্ডল ও ডান পা ভাঙ্গা এবং মন্দিরে থাকা পূজার সামগ্রীর বিনষ্ট করিয়াছে, তাৎক্ষণিক ভাবে বিষয়টি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক উদয় চন্দ্ৰ বৰ্মন (৪০) ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সরকার (৩২) কে ঘটনার বিষয় জানালে পরবর্তীতে বিষয়টি সুশান্ত সরকার শহীদবাগ বিট পুলিশকে অবগত করলে কাউনিয়া থানা পুলিশ সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পর্যায়ক্রমে স্থানীয় লোকজন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সহ এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকার লোকজনের ধারণা ৩০ অক্টোবর ২০২২ রাত অনুমান ০৮:০০ মিনিটে সময় মন্দিরের সেবায়েত নামকীর্তন করে চলে গেলে। ৩০ অক্টোবর রাত অনুমান ০৮.০০ মিনিট হইতে ৩১ অক্টোবর সকাল অনুমান ০৬.৩০ মিনিট এই সময়ের মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা আসামিরা মন্দিরে অনধিকার প্রবেশ করে। মন্দিরে থাকা কালীর মূর্তি ও শিব মূর্তি ভাংচুর, পূজার সামগ্রী বিনষ্ট সহ মন্দিরে থাকা পূজার সামগ্রী, চিনি, নারিকেল, ঘটি, কাতার, শঙ্খ ও সয়াবিন তেল, অনুমান সর্বমোট ৩,৯০০/- টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ, কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাছের বিল্লাহ এর নিকট ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন যে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি তবে অভিযান চলছে।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।