গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলাটা এমনই। সুপার টুয়েলভের বেড়া ভেঙ্গে সেমিফাইনাল খেলবে পাকিস্তানের কথা অনেক আগেই। নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ তৈরি করে।
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় বাবর আজমের দল। টেনেটুনে সেমিফাইনালে গেলেও ভয় ছিল আরও বেশি। কারণ, এই পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড। বাদ পড়ার ভয় ছিল।
কিন্তু অপ্রত্যাশিত পাকিস্তান জানে কীভাবে ‘সন্দেহকে সম্ভাবনায়’ পরিণত করতে হয়। বল হাতে নিয়ে শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ডকে ধরে রেখেছিল তারা। বুধবার টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে থামে কিউইদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নামেন পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে ফর্মের বাইরে থাকা বাবর আজম ও রিজওয়ান। দুজনে মিলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। বাবর ৫৩ রানে ফিরে গেলেও লিড নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
রিজওয়ান ৪৩ বলে ৫৭ রান করে ফিরে গেলেও ম্যাচ জিততে খুব একটা সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে তারা।
টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে কিউইদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাবর বাহিনী।
বুধবার সিডনিতে ব্ল্যাক ক্যাপসের দেওয়া ১৫৩ রান তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান ৫ বল হাতে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।