শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (এইচএসসি) বাংলা প্রথম পত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্ন প্রসঙ্গে বলেছেন, এখন থেকে প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর নিয়োগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন আসার পর তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
বুধবার জাতীয় জাদুঘরে ‘আমরা একাত্তরের গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যাকে প্রশ্নকর্তা ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব দিই, সে বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। বোর্ডগুলোকে আরো সতর্ক হতে হবে। আমাদের সিস্টেমে আরও ভালো করতে হবে।
এবারের এইচএসসিতে বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা আমরা চিহ্নিত করেছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কে প্রশ্ন সেট করেছে, কে প্রশ্ন মডারেট করেছে তাও রিপোর্ট করা হবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এটি অবশ্যই দেখা উচিত কারণ এটি অবহেলা নয় এটি ইচ্ছাকৃত। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত হলে তা ছাড় দেওয়া যাবে না। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন করার পুরো প্রক্রিয়াটি এমনভাবে সেট করা হয় যেভাবে একজন ব্যক্তি প্রশ্ন সেট করেন এবং অন্য ব্যক্তি এটি মডারেট করেন। এরপর পরীক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছানো পর্যন্ত আর কেউ দেখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্নকর্তা এবং যারা প্রশ্ন মডারেট করেন তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরও, কেউ যদি তা করে তবে তা ঘোরতর অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত।
বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা ছিলেন ভারতের দ্য ওয়াল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অমল সরকার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুল্লাহ শিকদার।