স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের টার্গেট ২৪ বল হাতেই অতিক্রম করেছে ইংলিশরা।
‘মনোযোগ না দেওয়া’ বলে কিছু নেই? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে এমনটাই করেছিল ইংল্যান্ড। ১৬৮ রান করেও, টিম ইন্ডিয়া লড়াইয়ের কোনও নজির স্থাপন করতে পারেনি। রোহিত শর্মার সাফল্যে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড।
ভারতের ইনিংসের সারসংক্ষেপ করলে, হার্দিক পান্ড্য, বিরাট কোহলির পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বোলারদের নামও আসবে। কারণ পান্ডিয়ার ঝড়ের আগে ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগ ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিল। তবে ইংল্যান্ডের ইনিংসে শুধু অ্যালেক্স হেলস ও জস বাটলারের শক্তি। ইংলিশরা ২৪ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জিতেছে। ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে রান তাড়া করতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে ইংল্যান্ড। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস প্রথম ওভারে ১৩ রান, দ্বিতীয় ওভারে ৮ রান এবং তৃতীয় ওভারে ১২ রান দেন। অক্ষর প্যাটেলকে আক্রমণে আনার পর আর উইকেটের দেখা পায়নি ভারত। ইংল্যান্ডের দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান কষ্ট পেলেও তার ওভারে 8 রান দেন। পাওয়ার প্লে শেষে বিনা উইকেটে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬৩ রান। শেষ পর্যন্ত দুই ওপেনারকে পাত্তাই দেননি ভারতীয় বোলাররা।
অপরাজিত হেলস ৪৭ বলে ৮৬ এবং বাটলার ৪৯ বলে ৮০ রান করে জয় নিশ্চিত করেন। হেলসের ইনিংসে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৪টি চার। বাটলারের ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৯টি চার।
যদিও ভারত আগে স্বল্প পুঁজি নিয়ে চিন্তিত ছিল, শেষ ঝড়ে ভারত ফাইটিং কালেকশন পেয়েছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে তারা। অ্যাডিলেড ওভালে টস হেরে শুরু থেকেই চাপে ছিল ভারত। ৯ রানে লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় তারা। ভারতের ওপেনার ফেরেন ৫ বলে ৫ রান করে। পাওয়ার-প্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৩৮ রানে। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মাও ফিরেন ৫৬ রান করে। তিনি 100 এর কম স্ট্রাইকরেটে 27 রান করেন।
সূর্যকুমার যাদবকে বর্তমানের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনিও সেদিন ইংরেজদের তোপের মুখে লাভবান হতে পারেননি। ফিলিপ সল্ট ১০ বলে ১৪ রান করে আদিল রশিদের হাতে ধরা পড়েন। ১১.২ ওভারে ভারতের দল ৭৫ রানে। এরপর বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
১৮ তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া ক্রিস জর্ডানের বলে পরপর দুটি ছক্কা মারেন। একই ওভারে টুর্নামেন্টের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। পরের বলেই ক্যাচ দেন তিনি। তার ৪০ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছক্কা। ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দেন পান্ডিয়া। ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। রিশাভ করেন ৬ রান। আউট হওয়ার আগে পান্ডিয়ার ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ।