আল বায়ত স্টেডিয়ামে আধা ঘণ্টার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। শোনা গিয়েছিল অনেক তারকা থাকবেন। তবে যাদের নাম শোনা গেছে, তাদের মধ্যে শুধু বিটিএস তারকা জ্যাং কুকই মাঠে পারফর্ম করেছেন। বাকি তারকাদের অনুপস্থিতি এবং পারফরম্যান্সের অভাব হয়তো ফুটবল ভক্তদের হতাশ করেছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৪৭ মিনিটে কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতেই ট্রফি নিয়ে মাঠে নামেন ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য মার্সেল দেশাই। এরপর জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হয় কাতারের ঐতিহ্য নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি।
এর কিছুক্ষণ পরেই কাতারের একজন প্রতিবন্ধী শিল্পী মর্গান ফ্রিম্যানকে নিয়ে মাঠে নামেন। দুজনের কথোপকথন দর্শকদের আবেগপ্রবণ করে তোলে। হাতে তলোয়ার নিয়ে এগিয়ে এল আরদা নর্তকী। ঢোলের তালে শত শত শিল্পী তাদের ঐতিহ্য তুলে ধরেন। এরপর হঠাৎ করেই আল বায়ত স্টেডিয়ামে অন্ধকার নেমে আসে। 32 টি দলের বিশাল জার্সি এবং পতাকার একটি বহর আলোকসজ্জার সাথে মাঠে প্রবেশ করে।
পরবর্তী পারফরম্যান্স ছিল মাসকট লা’ইবের আগমন। পূর্ববর্তী বিশ্বকাপের সমস্ত থিম গান এবং পূর্ববর্তী সমস্ত মরসুমের মাসকটগুলির সমন্বয়ে একটি সংক্ষিপ্ত মিউজিক্যাল শো উপস্থিত হয়েছিল। সব শেষে আতশবাজির ঝলকানির মধ্য দিয়ে মাঠে প্রবেশ করল বিশাল মাসকট লাইব। লাই বাই কাতারের বিশ্বকাপ প্রতিনিধি। এরপর মাঠে নামেন জনপ্রিয় বিটিএস গায়ক জাংকুক ও কাতারি গায়ক ফাহাদ আল কুবাইসি। দুজনে একসঙ্গে ‘দিস ইজ ড্রিমার্স’ গানটি পরিবেশন করেন।
বিশ্বকাপ কিভাবে বিশ্বকে একত্রিত করে তা তুলে ধরে মর্গান ফ্রিম্যান আবার মঞ্চে আসেন। এটাই ছিল এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যেখানে নোরা ফাতেহি, নিকি মিনাজ, শাকিরাসহ বেশ কয়েকজনের থাকার কথা থাকলেও কেউই সেখানে ছিলেন না।
আয়োজকদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এবারের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। সবাইকে হতাশ করে মাত্র ২৫ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।