কক্সবাজারের চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একটি পুরুষ হাতির মৃত্যু হয়েছে। ৩২ বছর বয়সী হাতিটির নাম ‘সৈকত বাহাদুর’। গতকাল সোমবার দুপুরে পার্কের হাতির গোদা নামক ঘেরের ভেতরে হাতিটি মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটিকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
পার্কের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘হাতি সৈকত বাহাদুর সোমবার সারাদিন স্বাভাবিক ছিল। বিকেল ৪টার দিকে যথারীতি কলা ও মিষ্টি কুমড়া খেয়েছি। খাবার নেওয়ার পর হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর পার্কের চিকিৎসক ঘেরে গিয়ে লাশ পরীক্ষা করে দেখেন হাতি সৈকত বাহাদুর মারা গেছে।
চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাত ডা. জুলকার নাইনকে উদ্ধৃত করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও পার্ক ভেটেরিনারি চিকিৎসকের নেতৃত্বে একটি দল হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে মাটিতে পুঁতে দেয়। হাতি সৈকত বাহাদুরের মৃত্যুর কারণ জানতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ গবেষণা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
হাতি পালনকারী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, সোমবার বিকেলে হাতি সৈকত বাহাদুরকে যথারীতি চারটি কলাগাছ ও চারটি মিষ্টি কুমড়া খেতে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ পানি পান করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলাম হাতিটা খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। কয়েক মিনিট পর দেখি মাথাটাও মাটিতে পড়ে গেছে। পরে পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পার্কের পশু চিকিৎসক দ্রুত হাতি সৈকত বাহাদুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, পার্কে ছয়টি হাতি রয়েছে। তাদের মধ্যে দুটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী হাতি রয়েছে। সৈকত বাহাদুর যে পার্কে মারা গিয়েছিল সেখানে বর্তমানে পাঁচটি হাতি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মৃত সাইত বাহাদুর পার্কে জন্মগ্রহণ করেননি। অন্য জায়গা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। একটি হাতি গড়ে 80 থেকে 85 বছর বাঁচে।