বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হবে। সকাল ১১টায় ঢাকার গণপরিবহনে নতুন সংযোজিত রেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের নিজ খরচে ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে।
সবুজ পতাকা উত্তোলন ও ফিতা কেটে মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও স্টেশনে নামবেন। একাধিক সূত্র জানায়, আধুনিক এই গণপরিবহনে প্রথম দিনের যাত্রী হবেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ অনেক অতিথি।
সূত্র জানায়, মেট্রোরেলে আমন্ত্রিত সকল অতিথিকে তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে ৫০০ টাকার সিঙ্গেল টিকিট বা কার্ড কিনেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংগ্রহ করা টিকিটের ছবি পোস্ট করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘উত্তরা থেকে আগারগাঁও, ঐতিহাসিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত! সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে ৫০০টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে।’
একইভাবে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৫০০ টাকা মূল্যের মেট্রোরেলের একটি সিঙ্গেল টিকিট বা কার্ড কিনেছেন। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘রেডি। চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও। আগামীকাল দেখা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের নগর গণপরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল একটি মাইলফলক। বুধবার দেশের প্রথম এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি এই উৎসবের অংশীদার হতে 500 টাকার একটি রিচার্জ কার্ড কিনেছি।
এদিকে, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য দুই ধরনের টিকিট বা পাস পাওয়া যাবে। এই একক যাত্রায় স্টেশনের বাইরে টিকিট বা কার্ড নেওয়া যাবে না। স্টেশনের বাইরে নিয়ে যাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
একক ভ্রমণ টিকিট বা কার্ড
এই টিকিট বা কার্ড কেনার তারিখে একবারই ব্যবহার করা যাবে। প্রবেশদ্বারে স্পর্শ করার পরে টিকিটটি সর্বোচ্চ 100 মিনিটের জন্য বৈধ হবে। অনুমোদিত দূরত্ব বা সময় অতিক্রম করলে অতিরিক্ত ভাড়া লাগবে।
টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (TVM) থেকে একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কেনা যাবে। কম মূল্যে বা ডিসকাউন্টে কেনা টিকিট কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রস্থানের সময় বহির্গমন গেটের স্লটে টিকিট প্রবেশ করাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই স্টেশনের বাইরে টিকিট নেওয়া যাবে না। স্টেশনের বাইরে একক যাত্রার টিকিট বহন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তবে অব্যবহৃত টিকিট কেনার তারিখে কাউন্টারে জমা দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়া যাবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআরটি পাস বা দ্রুত পাস
মেট্রোরেলে একাধিক যাত্রার জন্য এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতি টিকিটে মাত্র একজন ভ্রমণ করতে পারবেন।
প্রতিটি পাসের মূল্য ধরা হয়েছে ৪০০ টাকা। তবে এর মধ্যে জামানত হিসেবে থাকবে ২০০ টাকা, যা ফেরতযোগ্য। আর বাকি ২০০ টাকা ভাড়া হিসেবে ব্যবহার্য। তবে যাত্রী চাইলে তার একাউন্টে ১০০ টাকা বা তার গুণিতক হারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করতে পারবেন। টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) বা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে পাস রিচার্জ করা যাবে।
তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা নির্ধারিত কাউন্টার থেকেই একক যাত্রার টিকিট ও পাস কিনতে এবং রিচার্জ করতে পারবেন।
।