২৪ বছর ধরে পলাতক ছিলেন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মজিবর (৬০)। শেষপর্যন্ত সোমবার (২ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর আদাবর থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মজিবর মানিকগঞ্জে চাঞ্চল্যকর নবু প্রামানিক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১৯৯৮ সালে হত্যাকাণ্ডের পর মজিবর আর মানিকগঞ্জে অবস্থান করেনি। তিনি নাম পরিবর্তন করে মো. কালাম নামে বিভিন্ন ছদ্মবেশে আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
র্যাব বলছে, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় প্রথমদিকে মজিবর দিনমজুর, রিকশাচালক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আদাবরে অবস্থান করে মাছের ব্যবসা করে আসছিলেন।
র্যাব জানায়, ১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নবু প্রামানিকের ছেলে মো. বাদশার সঙ্গে মজিবরের চাচাতো শ্যালক বরকতের বিরোধ হয়। এর সূত্র ধরে নবু প্রামানিকের স্ত্রী নুর নাহারের সঙ্গে ঝগড়া হয় মজিবরের স্ত্রী জুলেখার। একপর্যায়ে ঝগড়া থামানোর জন্য নবু প্রামানিক চেষ্টা করেন। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা মজিবর, ছমির, আলতাফ, লেবু, জামাল এবং আব্বাছ লাঠি দিয়ে নবু প্রামানিকের ওপর আক্রমণ করেন। এরপর নৌকার বৈঠা দিয়ে নবু প্রামানিককে আঘাত করেন মজিবর। এসময় অন্যান্য আসামিরা লাঠি দিয়ে মারধর করে নবু প্রামানিকের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে নবু প্রামানিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর মজিবরসহ মোট সাতজনকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী নুর নাহার। মামলা হওয়ার পর বাকি আসামিরা গ্রেফতার হলেও আত্মগোপনে চলে যান মজিবর।
এরপর আদালত নবু প্রামানিক হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে মজিবরকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।