সুজন চক্রবর্তী,আসাম( ভারত) প্রতিনিধিঃ আসামরাজ্যের হাইলাকান্দি জেলার লালা থানাধীন মহম্মদপুর জয়কৃষ্ণ জিপির ছড়ার পার বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পাষণ্ড মাদক ব্যবসায়ী নজমুল হুসেন সহ পরিবারের ৪জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা নজমুলের মা মইমুন নেসা, বোন সালমা বেগম, ছোট ভাই একলাস উদ্দিন বড়ভূইয়া। এঘটনার পর রাজ্যের পুলিশ প্রধান ও নড়েচড়ে বসেন। মাঠে নেমে পড়েন পুলিশ সুপার ও। জানা যায়, এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক ও নির্মম অত্যাচারের পাশাপাশি গায়ে প্রস্রাব করছে পাষণ্ড একব্যক্তি এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি লালা থানাধীন মহম্মদপুর জয়কৃষ্ণ জিপির ছড়ারপার এলাকার যুবক নজমুল হোসেন ওরফে নিজামের বাড়ির। অমানবিক ঘটনাটি ঘটে সোমবার। মাদক চুরির অভিযোগে কাটলিছড়ার আমতলার বাসিন্দা বিরাজ পাল নামের এক যুবককে আটক করে প্রথমে অভিযুক্ত নজমুল হোসেন তার ঘরে ঢুকিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে।
লোহার লাঠি দিয়ে বেদড়ক পেটায়। এর পর তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে একটি সুপারি গাছের সঙ্গে হাত বেঁধে নির্মমভাবে প্রহার চালায়। ফলে বিরাজের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। এরপর বিরাজের পরনে থাকা কাপড় খুলে নেয় এবং তা আগুনে জ্বালিয়ে দেয় পাষণ্ড অমানবিক যুবকটি। বিরাজের মাথা ন্যাঁড়া করে, শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত এমনকি মাথায় প্রস্রাব করতে দেখা গেছে। এ নির্মম ঘটনার পর মঙ্গলবার লালা থানার অধীন আব্দুল্লাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের শিকার হওয়া যুবকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি মামলা জমা হয়েছে মঙ্গলবার।
অত্যাচারী যুবক নজমুল হোসেন ড্রাগস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, এই অঞ্চলে মাদকের ছড়াছড়ি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বহু পরিবার সরাসরি মাদক ব্যবসায় জড়িত। এতে অঞ্চলের যুবকদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘটছে প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ। এনিয়ে গ্রামের সচেতন নাগরিকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।