সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের, শিবগঞ্জে ২ নং শাহাবাজপুর ইউপির হাজারবিঘী গ্রামের জনৈক মজিবুর রহমানের আম বাগানের ভিতরে মানুষ চলাচলের রাস্তায় গত (১৪ ডিসেম্বর ২০২২) রাত্রি অনুমান ০৯,৪৫ মিনিট সময়ে লুটপাট ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।
আহত ব্যক্তি হল, শ্রী ইন্দ্রলাল কর্মকারের পুত্র
শ্রী নিমাই কর্মকার (৩০) এর পথরোধ করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে আহত ব্যক্তির বড় ভাই সংকর (৫৬) বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায়, গত (১৭ ডিসেম্বর ২০২২) একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ২৬, ধারা ১৪৩/৩৪২/৩২৩/
৩২৫/৩৭৯/৩০৭/১১৪/৫০৬/ দন্ড বিধি।
আসামিরা হল, উপজেলার হাজারবিঘী, ঝটকা পাড়ার, মৃত তাবজুল হকের পুত্র ১। মোঃ ফিটু আলী (৫৫), মোঃ ফিটু আলীর পুত্রদয় ২। মোঃ শাহির (৩৪), ও ৩। মোঃ মোমিন আলী (৩০)।
এজাহার সুত্রে জানা যায়,আহত নিমাই এর হাজারবিঘী বাজারে জুয়েলারীর দোকান আছে সে জুয়েলারির ব্যবস করেন প্রতিদিনের ন্যায় দোকান দারি সেশে বাড়ী যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়, উক্ত স্থানে পৌঁছা মাত্র আসামিরা অতর্কিত ভাবে হামলা করে নিমাইকে চারিদিক থেকে ঘেরাও করে লোহার রড,হকেস্টিক,হাসুয়া, ইত্যাদি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিতে থাকে, মারপিটের ফলেএক পর্যায়ে নিমাই মাটিতে পড়ে যায়,তখন আসমিরা গামছা দিয়ে নিমাইএর মুখ বাঁধিয়া বাকরুদ্ধ করে, লোহার রড দারা নিমাইএর দুই পায়ে বার বার আঘাত করার ফলে দুই পায়ের হারভাঙ্গা রক্তাক্ত জখম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করিয়া লিলা ফুলা জখম করে এসময় নিমাইএর কাছে থাকা ৩ ভরি ২ আনা ওজনের বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণের গহনা যার বর্তমান মুল্য ২,৫০,০০০ হাজার টাকা এবং নগদ ১,৫০,০০০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়, তখন নিমাইএর গোঁ গোঁ শব্দ শুনে আসেপাশে থাকা লোকজন আগাইয়া আসিলে, আসামিরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করিয়া চলে যায়।
পরে নিমাইএর বড় ভাই ও স্বজনরা ঘটনার সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নিমাইকে উদ্ধার করিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল চাঁপাইনবাবগঞ্জে লইয়া গিয়া ভর্তি করিয়া দেয়, বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, ঘটনার সংবাদ পাইয়া বি ডি এম ডাব্লুর একটি প্রতিনিধি দল, উক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রামের লোকজন নিয়ে গত (০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) উক্ত ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করেন এবং সকলে এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং আইনি সহায়তা দেন।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি, থানা অফিসার ইনচার্জকে লুট হওয়া সোনা এবং টাকা উদ্দার অথবা আসামিদের গ্রেফতার এবং রিমান্ড চাওয়া হয়েছে কিনা জিজ্ঞাশা করলে, ওসি, না সুচক জবাব দেন।
পরবর্তীতে বি ডি এম ডাব্লুর প্রতিনিধি দল, জেলার চিফ জুডিসিয়াল হাকিমের সহিত দেখা করে ঘটনার বিষয় জানালে, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আস্বস্ত করেছেন।