সিনিয়র রিপোর্টার আব্দুর রাজ্জাক।
সাতক্ষীরা শ্যামনগরের চিংড়াখালীতে মহানন্দ্র কুমার বৈদ্যের পারিবারিক নির্মাণাধীন কৃষ্ণ মন্দির ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গত- (১০ মার্চ ২০২৩) বিকাল ৫.০০ সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান যে, উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিকভাবে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম বাদলের নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মহানন্দ্র কুমারের দাখিল কৃত অভিযোগ অনুযায়ী মামলা নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে সতীন্দ্র নাথ বৈদ্যর ছেলে মহানন্দ্র কুমার বৈদ্য গত – (১১ মার্চ ২০২৩) বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৮/৬৭ ।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার যাদবপুর গ্রামের, একই পরিবারের, মৃত লোকমান শেখের ছেলে, ১। মোঃ আব্দুর রহিম (৩৫), ২। মেয়ে মোছাঃ রাবেয়া বেগম (৩০), ৩। স্ত্রী মোছাঃ ফজিলা বেগম (৫০)সহ আরও অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি আড: রবীন্দ্র ঘোষ আরও জানান মামলার বাদীর নিকট মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ও,সি সাহেব পেনাল কোডের ২৯৫/২৯৬ ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। এই কারনে অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই মন্দিরে ঢুকে পা দিয়ে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত করেছে হিন্দুধর্মের মন্দির ও পীঠস্থান। বাদী আরও বলেন বিবাদীরা খুবই প্রতাপশালী, উল্লেখিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পনা ‘মোতাবেক হাতে হাতুড়ি, লোহার রড, শাবল ইত্যাদি দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া শক্তির মহড়া প্রদর্শন করিতে করিতে: বাদীর বসত বাড়ির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করিয়া উক্ত নির্মাণাধীন কৃষ্ণ মন্দিরের পাকা দেওয়াল – ভাঙ্গিয়া দেয়।
এসময় বাদী ও বাদীর পিতা সত্যেন্দ্র নাথ বৈদ্যসহ ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদুর রহমান, বিবাদীদের উক্ত রুপ কার্যকলাপে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীগন অম্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করিতে উদ্যত হয় এবং বিবাদীরা তাদের উদ্দেশ্যে করিয়া বলে যে, যদি কোন উপায়ে উক্ত স্থানে মন্দিরের পাকা কার্যক্রম করার চেষ্টা করে তাহলে মারপিট ও খুনজখম করিবে মর্মে ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশককে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানালে তিনি বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতিকে বলেন এই ধরনের ধর্মীয় অবমাননা খুবই নিন্দনীয়। তিনি ঘটনার বিষয়ে খবর নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং অনতিবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।