সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইলে নেয়ামতপুর গ্রামে শ্রী শ্রী শ্যামানন্দ আশ্রম ও শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের গত (২০ জুলাই ২০২৩) রাত অনুমান ০৮.৩০ মিনিট সময়ে মুর্তি ভাংচুর করেছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, এজাহার ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়,সনাতন ধর্মালম্বী লোকজন প্রতিদিন মন্দিরে আসিয়া নিজ নিজ ধর্ম পালন করিয়া থাকে। প্রতিদিনের ন্যায় উক্ত তারিখ ও সময়ে সনাতন ধর্মলম্বী মহিলা পুরুষ মন্দিরের সামনে বসিয়া পুঁজা অর্চনা করিতেছিলো। এমন সময় বিদ্যুৎ চলিয়া গেলে হঠাৎ মন্দির এলাকা অন্ধকার হইয়া পড়ে, তখন মোঃ খলিল মিয়া অতর্কিত ভাবে মন্দিরের ভিতরে অনধিকার প্রবেশ করে হৈচৈ করিয়া পুঁজারীদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বলপ্রয়োগ করে ত্রাস সৃষ্টি করিয়া মন্দিরের ভিতরে থাকা মহাদেব, লক্ষি, স্বরস্বতি, কার্তিক, গণেশ, দূর্গা দেবতার প্রতিমা গুলো একের পর এক ভাঙ্গিয়া অনুমান ৫০,০০০/- টাকার ক্ষতি সামন কনে।
তখন স্থানীয় লোকজন তাহাকে আটক করার চেষ্টা করিলে উক্ত আসামী হৈ হুলা করিয়া খুন জখমের ভয় ভীতি প্রদর্শন করিয়া বীরদর্পে ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। তখন মন্দিরের সভাপতি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাইল থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া মন্দিরের ভিতরে স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে অপরাধীকে সনাক্ত করেন এবং পুলিশ উপস্থিত লোকজনকে সাথে নিয়া অভিযান পরিচালনা করিয়া – শাহজাদাপুর গ্রামে উক্ত অপরাধীর ভগ্নিপতি মোঃ মনজিল মিয়ার বাড়ী হইতে তাকে আটক করেন।
পরবর্তীতে উক্ত মন্দিরের সভাপতি জগদীশ চন্দ্র সরকার (৪৭) বাদী হয়ে উক্ত অপরাধী নাসিরনগর উপজেলার মৃত মোতালিব মিয়ার পুত্র মোঃ খলিল মিয়া (৩৯) কে আসামি করে গত (২১ জুলাই ২০২৩)একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ২২।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওনাদের নিকট মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওনারা বলেন আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।